Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts
রবি’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

রবি’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক : 

রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বুধবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের এজিএম হাইব্রিড পদ্ধতিতে স্বশরীরে এবং অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। 

 সভায় রবি আজিয়াটা লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বিবেক সুদ; ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, রাজীব শেঠি, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) এম. রিয়াজ রাশিদ,অন্যান্য বোর্ড সদস্য ও কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব, সাহেদ আলম। 

শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে রবি’র চেয়ারম্যান বিবেক সুদ বলেন, ‘২০২৩ সালে অসাধারণ কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে রবি'র গুণগত সেবার মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনেও এর প্রমাণ মিলেছে। ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের এই যাত্রায় গ্রাহকেরা রবিকে আপন করে নিয়েছে। তবে টেলিযোগাযোগ খাতে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে কর ব্যবস্থা। কর ব্যবস্থা যৌক্তিক না হলে শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ কষ্টসাধ্য হয়। এর বাইরে দেশের বিধি বিধান অনুসরণ করে আমরা ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে যা যা করার সবই করছি। আমাদের সম্মানিত সব শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানাই তারা তাঁদের মূল্যবান বিনিয়োগের কাঙ্খিত ফলাফল পেতে আমাদের সক্ষমতার ওপর আস্থা রেখেছেন।"

২০২৩ সালে রবি'র শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দশমিক ৬১ টাকা। এ সময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

রবি সম্পর্কে রবি আজিয়াটা লিমিটেড (‘রবি’) একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি যেখানে এশিয়ার টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের সিংহভাগ মালিকানা (৬১.৮২%) রয়েছে। এছাড়া রবিতে পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের (১০%) পাশাপাশি বিশ্ব টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি ভারতী এয়ারটেলের (ভারত) শেয়ার রয়েছে  ২৮.১৮%।  রবি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর। দেশের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিজিটাল সেবা আনছে কোম্পানিটি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে উদ্ভাবনী সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশে রবি অব্যাহত বিনিয়োগের মাধ্যমে শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। দেশজুড়ে থাকা এ অবকাঠামো ডিজিটাল পণ্য ও সেবা সরবরাহের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল প্রতিবেশ গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই হোক রবির হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হাটছে দেশবাসী।

চকরিয়া গ্রামার স্কুল ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় উপজেলা চ্যাম্পিয়ন

চকরিয়া গ্রামার স্কুল ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় উপজেলা চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চকরিয়ায় দুই দিনব্যাপি ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলা এবং জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৪ এর সমাপনী দিবসে বিজ্ঞান প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে (উপস্থাপন) টানা তৃতীয়বারের মতো উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চকরিয়া গ্রামার স্কুল। 

মঙ্গলবার (৩০জানুয়ারি) চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন চত্ত্বরে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাতুজ্জামান দিপু। 

অতিথিবৃন্দ উপজেলা চ্যাম্পিয়ন ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের দল চকরিয়া গ্রামার স্কুলসহ উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঝে শুভেচ্ছা পুরস্কার তুলে দেন। 

এদিকে বিজ্ঞান প্রজেক্ট উপস্থাপনে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় চকরিয়া গ্রামার স্কুল ক্ষুদে বিজ্ঞানী টিমকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জেলা পর্যায়েও তাদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।  

বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে চকরিয়া-লামায় মেহেজাবিন তারান্নুম নুসপা চ্যাম্পিয়ন

বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে চকরিয়া-লামায় মেহেজাবিন তারান্নুম নুসপা চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী ও ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড আয়োজিত বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর মেধা পরীক্ষায় স্কুল বিভাগ চকরিয়া-লামায় প্রথম চ্যাম্পিয়ান হয়েছে চকরিয়ার কৃতী ছাত্রী মেহেজাবিন তারান্নুম নুসপা। সে কক্সবাজারের শ্রমিক নেতা চকরিয়ায় সাহারবিল ইউনিয়নের কৃতী সন্তান মামুনুর রশিদ মামুনের বড় মেয়ে।  

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) লামা মাতামুহুরি সরকারি কলেজে চকরিয়া ও লামা উপজেলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ মেধা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে চকরিয়া গ্রামার স্কুলের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহেজাবিন তারান্নুম নুসপা।  

কৃতী ছাত্রী নুসপা আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হলে অনুষ্ঠিতব্য "জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০২৩ " অংশগ্রহণ করবে। তার সফলতার জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন পিতা শ্রমিক নেতা মামুনুর রশিদ মামুন।

বিজ্ঞান অলিম্পিয়ার্ডে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলা চ্যাম্পিয়ন

বিজ্ঞান অলিম্পিয়ার্ডে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলা চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলায় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে (কুইজ) উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুশফিক রহমান মুরাদ। 

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় এ সফলতা অর্জন করে। এতে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ী শিক্ষার্থী মুরাদের হাতে চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারটি তুলে দেন। 

এদিকে চকরিয়া উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান অলিম্পিয়ার্ডে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় শিক্ষার্থী মুরাদকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজ আহমদ ও প্রধান শিক্ষক এ.বি.এম দিদারুল ইসলাম।

উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রজেক্টে চকরিয়া গ্রামার স্কুল চ্যাম্পিয়ন

উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রজেক্টে চকরিয়া গ্রামার স্কুল চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়ার বিজ্ঞান মেলায় উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রজেক্ট উপস্থাপনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চকরিয়া গ্রামার স্কুল। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলায় এ সফলতা অর্জন করে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন। অতিথিবৃন্দ বিজয়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির হাতে কৃতিত্বের সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন। 

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনী প্রজেক্ট উপস্থাপনে দ্বিতীয়, বিজ্ঞান কুইজে (মো. মাহির কবির) দ্বিতীয় এবং অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার লাভ করে।

চকরিয়া গ্রামার স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল আবছার, সোহেল ইসলাম ও শাহনেওয়াজ সুমন ক্ষুদে বিজ্ঞানী টিমের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন। 

এদিকে বিজ্ঞান মেলায় চকরিয়া উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রজেক্ট উপস্থাপনে চ্যাম্পিয়নসহ চার ক্যাটাগরিতে সফলতা অর্জন করায় আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চকরিয়া গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি জেলা পর্যায়ে সফলতার জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।    

চকরিয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় উদ্ভাবনী প্রজেক্টে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ চ্যাম্পিয়ন

চকরিয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় উদ্ভাবনী প্রজেক্টে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়ার বিজ্ঞান মেলায় উপজেলা পর্যায়ে উদ্ভাবনী প্রজেক্টে চ্যাম্পিয়ন ও বিজ্ঞান প্রজেক্ট উপস্থাপনে দ্বিতীয় হয়েছে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ। এছাড়া বিজ্ঞান কুইজে তৃতীয় এবং অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার লাভ করে প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলায় এ সফলতা অর্জন করে। সকাল দশটা থেকে শুরু হওয়া বিকাল সাড়ে চারটায় পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে সমাপ্ত দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান। 

এতে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন। অতিথিবৃন্দ বিজয়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির হাতে কৃতিত্বের সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন।

চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের ক্ষুদে বিজ্ঞানী টিমের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলুল কাদের ও ক্রীড়া শিক্ষক মোঃ আনসারুল করিম। 

এদিকে বিজ্ঞান মেলায় চকরিয়া উপজেলা পর্যায়ে উদ্ভাবনী প্রজেক্টে চ্যাম্পিয়নসহ চার ক্যাটাগরিতে সফলতা অর্জন করায় আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী ও বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আখের।

চকরিয়ায় ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধন

চকরিয়ায় ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলা এবং ৭ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন চত্বরে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ফিতা কেটে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান। 

পরে চকরিয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহকারী ইমাম মাওলানা মো. নোমান শিবলীর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নরেশ রুদ্র টিটুর গীতা পাঠের মধ্যদিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান। 

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সমর রঞ্জন বড়ুয়া। এতে অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুছা। 

এসময় চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাতুজ্জামান দিপু, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারহান তাজীম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার শাকেরা শরীফ, উপজেলা সমবায় অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অতিথিবৃন্দ মেলার ২৫টি স্টলে অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত বিজ্ঞান প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।

চকরিয়ায় দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উদ্বোধন

চকরিয়ায় দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উদ্বোধন

শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস) : 

"উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ" এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন চত্বরে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০২২। 

সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল দশটায় বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্যদিয়ে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। র‌্যালির অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান। বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণে র‌্যালিটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা স্থলে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। 

পরে ইউএনও জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরীসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলগুলো সরেজমিন ঘুরে ফিরে পরিদর্শন করেন।

এদিকে দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় ২৫টি স্টলে চকরিয়া পৌরসভা, উপজেলা ভূমি অফিস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অধিদপ্তরসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও একাধিক বেসরকারি দপ্তর অংশগ্রহণ করে।

জাতীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কার পেলো চকরিয়ার আলমগীর রানা

জাতীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কার পেলো চকরিয়ার আলমগীর রানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উপলক্ষে সাংগঠনিক দক্ষতায় সেরা হওয়ায় জাতীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কার (ল্যাপটপ) পেয়েছেন শেখ রাসেল জাতীয়-শিশু কিশোর পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ আলমগীর রানা।   

গত মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ঢাকা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চকরিয়ার কৃতী সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা আলমগীর রানাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে এ উপহার তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।  

এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে.এম শহিদ উল্যাহসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জার্মানিতে চকরিয়ার রায়েদ হায়দারের সফলতা

জার্মানিতে চকরিয়ার রায়েদ হায়দারের সফলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিশ্বের বৃহত্তম মহাকাশ কোম্পানি বোয়িং এবং অ্যাডিয়েন্টের যৌথ উদ্যোগে জার্মানীর আ্যডিয়েন্ট আ্যারোস্পেসে চাকরিতে যোগদান করেছে চকরিয়ার ছেলে রায়েদ হায়দার। 

তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার  চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম হায়দারের বড় ছেলে। 

শুক্রবার (১ এপ্রিল) বিশ্ব বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান জার্মানির অ্যাডিয়েন্ট অ্যারোস্পেসে চাকরিতে যোগদান করেন।

তিনি ভারতের দার্জিলিং, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ও জার্মানিতে কৃতিত্বের সাথে অধ্যয়ন সম্পন্ন করেন।

১বছর ৬মাস (করোনা-কালীন) অনলাইনে বাংলাদেশে ক্লাস করেন, জার্মানিতে গিয়ে বাকী সেমিস্টার শেষ হওয়া মাত্রই  চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয় রায়েদ হায়দার।   

ছেলের সফলতা প্রসঙ্গে সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, আমার ছেলের এ কৃতিত্বে আমি অনেক খুশি এবং গর্ববোধ করছি। তিনি ছেলের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।

কক্সবাজারে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত

কক্সবাজারে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

"‍ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত সকল জনগণ" এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে কক্সবাজারে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১ নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। 

রোববার (১২ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন চত্ত্বরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, কক্সবাজার জেলা ফুটবল এসোসিশেন (ডিএফএ)'র সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীসহ জেলা শহরের বিভিন্ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

সত্যি খবরের চেয়ে ভুল তথ্য বেশি ছড়ায় ফেসবুক!

সত্যি খবরের চেয়ে ভুল তথ্য বেশি ছড়ায় ফেসবুক!

অনলাইন ডেস্ক : 

নতুন এক গবেষণায় উঠে আসতে যাচ্ছে ফেইসবুকে ভুল তথ্য আসল খবরের চেয়ে ছয় গুণ এনগেজমেন্ট পায়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ‌‌‌‌‌এবং ফ্রান্সের ইউনিভার্সেতে গ্রোনোব আলপ -এর গবেষণার ভিত্তিতে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। ওই প্রতিবেদনের বরাতে জানা গেছে, অগাস্ট ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২১ সময় পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি সংবাদ প্রকাশকের ফেইসবুক পেইজ খতিয়ে দেখেছেন গবেষকরা।

গবেষকরা দেখেছেন, প্রতিনিয়ত ভুল তথ্য প্রকাশ করে এমন পেইজ বেশি লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট পেয়ে থাকে। বর্ধিত এই এনগেজমেন্ট রাজনৈতিক অঙ্গনের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে। “ডানপন্থী প্রকাশকদের অন্যান্য রাজনৈতিক শ্রেণীর চেয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য শেয়ারের প্রবণতা বেশি থাকে,” – গবেষণায় এমন তথ্যও উঠে এসেছে বলে উল্লেখ করেছে পোস্ট।

এ বছরের ‘ইন্টারনেট মেজারমেন্ট কনফারেন্সের’ অংশ হিসেবে গবেষণাটি উপস্থাপন করা হবে আসছে নভেম্বরে। তবে, গবেষক লরা এডেলসন জানিয়েছেন, তার আগেও গবেষণাটি প্রকাশিত হতে পারে। 

ফেইসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গবেষণাটি শুধু এনগেজমেন্টের উপর করা হয়েছে, ‘রিচ’ এর উপর নয়। কতজন ব্যবহারকারী কন্টেন্ট দেখছেন তা ‘রিচ’ এর মাধ্যমে তুলে ধরে ফেইসবুক।

মার্কিন সামাজিক মাধ্যম এ প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য ‘রিচ’ সম্পর্কিত ডেটা গবেষকদেরকে দেয় না। গবেষকরা নিজ কাজে ফেইসবুক মালিকানাধীন টুল ‘ক্রাউডট্যাঙ্গল’ ব্যবহার করেন যা সামাজিক মাধ্যমটির ভুল তথ্য সমস্যা বুঝতে এবং পরিমাপ করার সুবিধা দিয়ে থাকে।

কিন্তু অগাস্টে এই গবেষক দলকে ডেটায় প্রবেশাধিকার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ফেইসবুক। কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল, ডেটায় গবেষকদের প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখলে তা ফেডারেল ট্রড কমিশনের সঙ্গে এক সমঝোতা লঙ্ঘন করতে পারে।

কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর এফটিসি’র সঙ্গে ওই সমঝোতায় আসে ফেইসবুক। তবে ফেইসবুকের ওই দাবির পরপরই এফটিসি বলে দিয়েছে, ওই তথ্য সঠিক নয়। 

আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে খুলনায়

আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে খুলনায়

খুলনা অফিস 


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতায় খুলনায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হতে যাচ্ছে আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স। সাত তলা বিশিষ্ট এ ভবনটি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে(একনেক) অনুমোদিত হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা বিভাগের এনইসি-একনেক ও সমন্বয় অনুবিভাগের একনেক শাখা-১এর উপপ্রধান নিশাত জাহান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এটি উল্লেখ করা হয়েছে। খুলনাসহ দেশের ২৬টি জেলায় জেলা পর্যায়ে আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ ভবন নির্মাণ হচ্ছে বলেও পত্রে উল্লেখ করা হয়। ২৬টি ভবনের জন্য মোট ব্যয় হবে এক হাজার ১০৩ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা বিভাগের পত্রে উল্লেখ করা হয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সম্পূর্ণ জিওবি’র অর্থে ভবনটি নির্মাণ হচ্ছে। গত ৫ জানুয়ারির একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে এখনও এজন্য জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সম্পন্ন হয়নি। তথ্য কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভবনের জন্য জমির প্রয়োজন হবে এক বিঘা(৩৩ শতক)।

খুলনায় ভবনটির জন্য খুলনা বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় জমি দেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই তথ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে। এ ভবনে আধুনিক সিনেপ্লেক্সসহ বিভাগীয় ও আঞ্চলিক তথ্য অফিসের পৃথক অফিস থাকবে। এছাড়া থাকবে হলরুম এবং মিডিয়া কর্মীদের জন্য পৃথক স্পেস। তথ্য কমপ্লেক্সটি গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সেতুবন্ধন সৃষ্টি করবে বলেও তিনি আশা করছেন।

খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(এলএ) মো: মারুফুল আলম বলেন, পরিকল্পনা বিভাগের এমন প্রকল্পের বিষয়টি তিনি এখনও অবহিত নন। তবে নির্দেশনা পেলে দ্রুতই জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সম্পন্ন করে তথ্য কমপ্লেক্সের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

খুলনা জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন বলেন, খুলনায় তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকারকে এ প্রকল্পের পিডি করা হয়েছে।

ওই প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খুলনায় ভবনটি নির্মাণের জন্য জিরো পয়েন্ট এলাকায় যে এক বিঘা জমি দেখা হয়েছে সেটি এখনও অধিগ্রহণ হয়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণ করার পরই ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে। এ ভবনে অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্স, তথ্য অফিস, ডিজিটাল ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থাপনা থাকবে।

খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন বলেন, সরকারের এ উদ্যোগ সাংবাদিকতার মানোন্নয়নের জন্য অবশ্যই একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে জায়গাটি শহরের যত কাছে হবে ততোই ভালো। কেননা অনেক দূরে হলে সাংবাদিকদের যাতায়াতে সময় নষ্ট হবে। যেহেতু সেখানে তথ্য অফিস থাকবে সেহেতু সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগের বিষয়টি মাথায় রেখেই স্থান নির্বাচন করা উচিত বলেও তিনি মনে করেন।

একইসাথে ভবনের নকশা হতে হবে গণমাধ্যম বান্ধব। বিশেষ করে সাংবাদিকদের তথ্য প্রাপ্তি থেকে শুরু করে মিডিয়া কর্মীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা যাতে থাকে সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার জন্য পৃথক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হলেও সাংবাদিকতার মানোন্নয়ন হবে বলেও তিনি মনে করেন। 

বিশেষ করে ওই ভবনে যাতে সাংবাদিকদের আবাসিক প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকে সেটিও বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। ভবন নির্মানের আগেই এ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, প্রকৃত পক্ষে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও মানোন্নয়ন হলে তথাকথিত হলুদ সাংবাদিকতা ও অপসাংবাদিকতা দূর হবে। এজন্য খুলনায় তথ্য কমপ্লেক্সের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

ফের ১০০ বছর পর বিপজ্জনক সৌরঝডের মুখোমুখি পৃথিবী

ফের ১০০ বছর পর বিপজ্জনক সৌরঝডের মুখোমুখি পৃথিবী

অনলাইন ডেস্ক: 

ভয়ঙ্কর সৌরঝড় (‘সোলার স্টর্ম’) আসছে। যার ফলে ভেঙে পড়তে পারে গোটা বিশ্বের যাবতীয় ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর তা বেশ কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসও স্থায়ী হতে পারে।

এই ধরনের সৌরঝড়কে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়, ‘করোনাল মাস ইজেকশান (সিএমই)’। যা গোটা সৌরমণ্ডলের পক্ষেই হয়ে ওঠে অত্যন্ত বিপজ্জনক।

আমেরিকার আরভিনে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই অশনিসঙ্কেত দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি পিয়ার রিভিউ পর্যায় পেরিয়ে একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশের অপেক্ষায়। মঙ্গলবার অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এ বার যে সৌরঝড় আসছে তেমন ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ের ঝাপ্‌টা আধুনিক পৃথিবীকে এর আগে সইতে হয়েছিল ১৮৫৯ আর ১৯২১ সালে। সে ক্ষেত্রে বলা যায়, ১০০ বছর পর ফের ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছে পৃথিবী। ১৯২১ সালে ভয়ঙ্কর সৌরঝড় আছড়ে পড়ায় পৃথিবীর যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা অভূতপূর্ব। বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম ‘ক্যারিংটন এফেক্ট’। সেই সৌরঝড়ের ঝাপ্‌টায় পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বিশাল চৌম্বক ক্ষেত্রে বড় বড় ফাটল ধরেছিল। আর তার ফাঁক গলে ঢুকেছিল অত্যন্ত বিষাক্ত সৌরকণা আর মহাজাগতিক রশ্মি। টেলিগ্রাফের তার সশব্দে ফেটে গিয়ে দাউদাউ করে জ্বলেছিল দীর্ঘ সময় ধরে। যে মেরুজ্যোতি (‘অরোরা’) শুধু পৃথিবীর দুই মেরুতেই দেখা যায় সাধারণত, সৌরঝড়ের প্রবল ঝাপ্‌টায় সে বার তা বিষুবরেখার নিচে থাকা কলাম্বিয়াতেও দেখা গিয়েছিল। খুব উজ্জ্বলভাবে।

গবেষকরা লিখেছেন, 'এমন ভয়ঙ্কর সৌরঝড় বা সিএমই-র পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রতি দশকে থাকে ১.৬ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ। এ বার তেমনই একটি সিএমই-র ঝাপ্‌টা সইতে হতে পারে পৃথিবীকে। যার আশঙ্কা খুব বেশি।'

১৮৫৯ এবং ১৯২১ সালের মতো তীব্রতায় অতটা না হলেও ১৯৮৯ সালের মার্চে যে সিএমই ধেয়ে এসেছিল পৃথিবীর দিকে তার ঝাপ্‌টায় কানাডার গোটা কুইবেক প্রদেশে টানা ন’ঘণ্টা ‘ব্ল্যাক আউট’ হয়ে গিয়েছিল।

পৃথিবীর চার পাশে থাকা শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রই সৌরঝড়-সহ সূর্য থেকে ছুটে আসা নানা ধরনের হানাদারের হাত থেকে বাঁচায় আমাদের। দুই মেরুতে চৌম্বক ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী থাকে বলে সৌরকণারা ধেয়ে এলে তাদের বেশির ভাগকেই ফিরিয়ে দেয় দুই মেরুর চৌম্বক ক্ষেত্র। সেই সঙ্ঘর্ষেই মেরুজ্যোতির জন্ম হয়। পৃথিবীসহ সৌরমণ্ডলের সব গ্রহের দিকেই ধেয়ে যায় এই সৌরঝড়। যে গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র প্রায় নেই বা খুব পাতলা, নেই বায়ুমণ্ডলও সেই গ্রহকে এই ঝাপ্‌টা বেশি সহ্য করতে হয়। তাই কোনও কালে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব হলেও সেখানে তা টিকে থাকতে পারেনি মঙ্গল গ্রহে। তার চার পাশে চৌম্বক ক্ষেত্রে প্রায় নেই বলে। বায়ুমণ্ডলও খুব পাতলা বলে।

মূল গবেষক, আরভিনের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঙ্গীতা আবদু জ্যোতি বলেছেন, যেটা সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় তা হলো, আমরা মহামারীর জন্য যেমন আদৌ প্রস্তুত ছিলাম না এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটার আশঙ্কা। কারণ, সূর্যের বায়ুমণ্ডলে (করোনা) কখন ভয়ঙ্কর সৌরঝড় উঠবে তার পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয় এখনো। তবে এটুকু বলা যায়, ওই ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে অন্তত ১৩ ঘণ্টা সময় লাগবে।

গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, আধুনিক ইন্টারনেট যোগাযোগব্যবস্থার উপর এ বারের সিএমই-র আঘাত কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে কোনো তথ্যাদি বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। কারণ, এর আগে যখন (১৯২১) এমন ভয়ঙ্কর সিএমই পৃথিবীর উপর এসে আছড়ে পড়েছিল তখন পৃথিবীতে ইন্টারনেট ব্যবস্থাই গড়ে ওঠেনি।

গবেষকদের আশঙ্কা, এ বার যে ভয়ঙ্কর সিএমই আসছে প়ৃথিবীর দিকে তার ঝাপ্‌টায় সমুদ্রের নিচ দিয়ে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে যাওয়া ইন্টারনেটের যাবতীয় কেবলই খুব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বার্তার গতি বাড়াতে এই ইন্টারনেট ক‌েব্‌লগুলোতে ৩০ থেকে ৯০ মাইল অন্তর বসানো থাকে ‘রিপিটার’। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র স্বাভাবিক না থাকলে যেগুলি বিগড়ে যায়। একটি রিপিটার ক্ষতিগ্রস্ত হলেই ভেঙে পড়ে সেই লাইনের যাবতীয় ইন্টারনেট যোগাযোগব্যবস্থা। দেশের মধ্যে ইন্টারনেট যোগাযোগের কেব্‌লগুলোর মতো সমুদ্রের নিচে থাকা এই কেব্‌লগুলো ফাইবার দিয়ে বানানো হয় না। তাই সেগুলোর নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আরো বেড়ে যায়।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

হাইওয়ে পাওয়ার প্লান্ট উদ্ভাবন করলো বরিশালের শিক্ষার্থী সাহান

হাইওয়ে পাওয়ার প্লান্ট উদ্ভাবন করলো বরিশালের শিক্ষার্থী সাহান

অনলাইন ডেস্ক: 

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্মার্ট সোলার হাইওয়ে এন্ড পাওয়ার প্লান্ট উদ্ভাবন করেছে কলেজছাত্র মোসলেউদ্দীন সাহান। তিনি আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেকমো ডা. মোখলেছুর রহমানের ছেলে ও গৈলা ইউনিয়নের কালুপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সাহান ২০১৬ সালে সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় স্মার্ট সোলার হাইওয়ে এন্ড পাওয়ার প্লান্ট প্রজেক্টের কাজ শুরু করে। তার প্রজেক্টের মূল কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে। সে ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ এবং ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। স্মার্ট সোলার হাইওয়ে এন্ড পাওয়ার প্লান্ট উদ্ভাবন বিষয়ে সাহান বলেন, আমাদের দেশে মূলত কয়লা, পিছ ও বিটুমিন দিয়ে রাস্তা নির্মান করে। যখন কয়লা পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয় তখন অবশ্যই কয়লা ও পিচ পোড়াতে হয়। কয়লা এবং পিচ যখন পোড়ানো হয় তখন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন গ্যাস যেমন-কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয় যা মোটেও পরিবেশ বান্ধব নয়। যে জ্বালানি দিয়ে কয়লা ও পিচ পোড়ানো হয় তাতে যদি সালফারের যৌগ থাকে তাহলে তা পরিবেশের জন্য এ্যাসিড বৃষ্টি সৃষ্টিকারী গ্যাস যেমন-সালফার ডাই অক্সাইড, সালফার ট্রাই অক্সাইড উৎপন্ন করে যা মোটেও পরিবেশ বান্ধব নয়। কিন্তু এ স্মার্ট সোলার হাইওয়ে তৈরি করতে এরকম পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোন ধরনের পদার্থ ব্যবহার করা হয় না।  

রাস্তা তৈরি করতে ন্যানোটেকনোলজি দ্বারা তৈরিকৃত সোলার সেল ব্যবহার করা হয় যা মূলত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন। তাছাড়া স্মার্ট সোলার  হাইওয়ে হচ্ছে একটি “পরিবেশ বান্ধব এবং নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস”। এই রাস্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এটা যে কোন মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। তাছাড়া এই রাস্তা  তিনটি উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। সূর্যের আলোর মাধ্যমে, মানুষের চলাচলের সময় যে ঘর্ষণ উৎপন্ন হয় সে ঘর্ষণের মাধ্যমে এবং মানুষের ও গাড়ির প্রেসারকে কাজে লাগিয়ে। শক্তির নিত্যতা সূত্র অনুসারে শক্তির সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই কিন্তু শক্তিকে একরূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তন করা সম্ভব। সে অনুসারে প্রেসারকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা হচ্ছে। এই রাস্তা প্রাথমিক অবস্থায় ৩০ টন পর্যন্ত চাপ নিতে সক্ষম। আর  সোলার হাইওয়ে দিয়ে যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে তখন মানুষের তড়িৎপৃষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ এখানে সেমি পারমিসিবেল ম্যাট্রিক্স টেকনোলজি, পলিক্লিস্টালিন টেকনোলজি এবং পলিকার্বনেট টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে যে কারণে ঘর্ষণের সময় যে ইলেকট্রনের যে ক্ষয় হয় তা দ্বারা মানুষের তড়িৎপৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই রাস্তার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে এই রাস্তা দ্বারা সূর্যের আলোর মাধ্যমে ২ কিঃ মিঃ রাস্তা দ্বারা ৬,৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব এবং মানুষের চলাচলের মাধ্যমে ও গাড়ির প্রেসারকে কাজে লাগিয়ে পিজো ইলেক্ট্রিক এফেক্ট এর মাধ্যমে আলাদাভাবে আরও বছরে ১৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করাও সম্ভব। প্রেসারকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে রাস্তার উপর দিয়ে কি পরিমাণে গাড়ি চলাচল করছে এবং কি পরিমাণে প্রেসার পড়ছে তার উপর। সাহান আরও বলেন, আমরা যদি এ-স্মার্ট সোলার হাইওয়ে তৈরি করি তাহলে একই রাস্তা থেকে একই সময়ে আমরা ৩ উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে পারবো এবং রাস্তা হিসেবেও আমরা ব্যবহার করতে পারবো। একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে সরকার প্রতি এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৬ কোটি টাকা খরচ করে কিন্তু স্মার্ট সোলার হাইওয়ে তৈরি করতে ৪ কোটি টাকাই যথেষ্ট প্রতি কিলোমিটারের জন্য। তাছাড়া দেখা যায় যে পিচের রাস্তার যে স্থায়িত্ব তা হওয়ার কথা হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ বছর কিন্তু তার স্থায়িত্ব দেখা যায় খুব কম। কারণ বিটুমিনের সব থেকে বড় শত্রু হচ্ছে পানি। বিটুমিন যখনই পানির সংস্পর্শে আসে তখনই দেখা যায় পিচ বা কয়লার তৈরি রাস্তা ভাঙতে শুরু করে। কিন্তু এ স্মার্ট সোলার হাইওয়ের এইরকম কোন ক্ষতিকারক দিক নেই। কারণ এই রাস্তা তৈরি করতে কোন ধরনের পিচ বা কয়লার ব্যবহার করা হচ্ছে না। সম্পূর্ণ  পরিবেশবান্ধব উপায়ে স্মার্ট সোলার হাইওয়ে  তৈরি করা হয়। এই রাস্তা সাশ্রয়ী এই কারণে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতের কথাই বলছি ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতের জন্য বাজেট করা হয় ২১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেট করা হয় ২৬ হাজার ৫০২ কোটি টাকা এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাজেট করা হয় ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা। এখানে দেখা যাচ্ছে যে প্রতিবছরই কিন্তু বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও খনিজ খাতের জন্য বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ কিন্তু বেড়েই চলছে। আমি মনে করি এই স্মার্ট সোলার  হাইওয়ে তৈরি করলে প্রতিবছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য সড়ক ও জনপথ খাতে আলাদাভাবে বাজেট করতে হবে না। কারণ  এখানে একটা রাস্তার পেছনে সামান্য কিছু ব্যয় করে, একই রাস্তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে এবং রাস্তা হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে সরকারের ও জনগণের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে এবং প্রতিবছর আলাদা আলাদা রাস্তার জন্য এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য আলাদাভাবে বাজেট বরাদ্দ করতে হচ্ছে না। ফলে প্রতি বছর সড়কের জন্য এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হতো সেই বাজেটের অর্থটাকে অন্যান্য খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করা সম্ভব। তাছাড়া আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে খনিজ সম্পদ অর্থাৎ তেল-গ্যাস ব্যবহার করা হয় তার উপরও চাপ কমবে। কারণ স্মার্ট সোলার হাইওয়েতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কোন ধরনের তেল বা গ্যাস ব্যবহার করা হয় না। কারণ স্মার্ট সোলার হাইওয়েতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় “সূর্যের আলোর মাধ্যমে, মানুষের  চলাচলের সময় যে ঘর্ষণ হয় সেই ঘর্ষণের মাধ্যমে এবং গাড়ির চাপকে কাজে লাগিয়ে। 

স্মার্ট সোলার হাইওয়ে হচ্ছে একটি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং পৃথিবীতে যতদিন পর্যন্ত সূর্যের আলো থাকবে এবং এই রাস্তা থাকবে ততদিন এই রাস্তার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এই রাস্তার স্থায়িত্বকাল হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ বছর। 

সাহান ২০১৫ সালে উপজেলা পর্যায়ে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে। ২০১৭ সালে উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে এবং জাতীয় পর্যায় বছরের সেরা মেধাবী নির্বাচিত হয় এবং পদক পায়। ২০১৯ সালে উপজেলা, বরিশাল মহানগর ও বিভাগ পর্যায় সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে এবং জাতীয় পর্যায় বছরের সেরা মেধাবী নির্বাচিত হয়। ২০১৭ সালে ৩৮ তম জতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে। ২০১৭ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় উপজেলা ও জেলা পর্যায় ১ম স্থান অধিকার করে। ২০১৮ সালে জাপান সরকারের আমন্ত্রণে সাকুরা সাইন্স একসেন্স প্রগ্রামে ৮দিনের জন্য অংশগ্রহণ করে সাহান।

ভবিষ্যতে এই স্মার্ট সোলার হাইওয়ে আরো বেশি উন্নীতকরণ করার ইচ্ছা আছে তার যাতে করে দেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হয়। ভবিষ্যতে এই স্মার্ট সোলার হাইওয়েতে ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম এবং ডাস্ট সেন্সরসহ আরো কিছু প্রযুক্তি যুক্ত করতে চায়।  যাতে করে মানুষ আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারে। তাছাড়া এই স্মার্ট সোলার হাইওয়ের আশেপাশের প্রতিটি বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে কলকারখানা শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং প্রতিটি স্থানের যতগুলো ইলেকট্রিক লাইন আছে সবগুলি স্মার্ট ফোনের সাহায্যে কন্ট্রোল করা যায়। এই রাস্তাটি তৈরি করতে মোঃ মোসলেউদ্দীন সাহানের ৭০ হাজার টাকার উপরে খরচ হয়েছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে এই রাস্তাটি নিয়ে আরো কাজ করার ইচ্ছা আছে তার।

এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবুল হাশেম বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্মার্ট সোলার হাইওয়ে এন্ড পাওয়ার প্লান্ট উদ্ভাবক কলেজছাত্র মোসলেউদ্দীন সাহানের এই প্রজেক্ট বাংলাদেশকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তার এই প্রজেক্টকে আরও আধুনিকভাবে তৈরি করার লক্ষ্যে সে চাইলে যে কোন সহযোগিতা করা হবে।

লকডাউনে ভার্চুয়াল অফিস চালানোর নির্দেশনা

লকডাউনে ভার্চুয়াল অফিস চালানোর নির্দেশনা

 অনলাইন ডেস্ক: 

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে লকডাউনে সরকারি অফিসের সব কাজ ভার্চুয়ালি পরিচালনা করতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

রোববার (১১ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমণ রোধকল্পে আরোপিত বিধিনিষেধে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম হিসেবে সব জরুরি অফিস ও সেবা চালু রয়েছে। এক্ষেত্রে সব সরকারি দাপ্তরিক কাজসমূহ ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে গত ১ জুলাই থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর ৫ জুলাই বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।

মঙ্গল থেকে সেলফি পাঠিয়েছে চীনের ‘জুরং’

মঙ্গল থেকে সেলফি পাঠিয়েছে চীনের ‘জুরং’

 অনলাইন ডেস্ক: 

লালগ্রহ মঙ্গল থেকে বেশ কিছু নতুন ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে চীনের রোবটযান ‘জুরং’, এর মধ্যে একটি সেলফিও আছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মে মাসে মঙ্গলে পৌঁছানো এই রোভার সেলফি তোলার জন্য প্রথমে মাটিতে তারবিহীন একটি ক্যামেরা বসিয়েছে। তারপর ছয় চাকায় কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে নিজের ছবিটি তুলেছে।

ছবিকে জুরংয়ের ডান পাশে যে রকেট চালিত প্ল্যাটফর্মটি দেখা যাচ্ছে, সেটার পিঠে চেপেই গত মাসে মঙ্গলের বুকে নেমে এসেছিল জুরং। রোভার আর প্ল্যাটফর্ম, দুই জায়গাতেই শোভা পাচ্ছে গণচীনের লাল পাতাকা।

জুরংয়ের পাঠানো দ্বিতীয় ছবিতে রোভারটির নিজের প্ল্যাটফর্মকেই দেখা যাচ্ছে। ঢালু র‍্যাম্পটি ব্যবহার করেই প্ল্যাটফর্ম থেকে মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছিল এই রোবটযান। লাল ধুলোর ওপর রয়েছে তার ঘুরে বেড়ানোর চিহ্ন। 

মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধের যে বিস্তৃত ভূখণ্ডকে ইউটোপিয়া প্লানিশা নাম দেওয়া হয়েছে, গত  ১৫  মে সেই এলাকায় অবতরণ করে সৌরবিদ্যুতচালিত এই রোবট যান।

সেই অবতরণের স্থান থেকে মঙ্গলের দিগন্ত দেখা যাচ্ছে জুরংয়ের পাঠানো আরেকটি ছবিতে। রোভার জুরংয়ের সাফল্য উদযাপনের জন্য এই ছবিগুলো প্রকাশ করেছে চীনা স্পেস এজেন্সি।

বিজ্ঞানীর আশা করছেন, মঙ্গলের বুক থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য পাঠাতে পারবে রোভার ‘জুরং’। চীনের পাঠানো এই রোবটটি দেখতে অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার রোভার স্পিরিট ও অপর্চুনিটির মতই।

২৪০ কেজি ওজনের জুরংয়ের নাম দেওয়া হয়েছে চীনের অগ্নিদেবতার নামে। এই রোভারে আছে ছয় ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সরঞ্জাম। সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহে কখনো প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল কি না, তা খুঁজে বের করা এর অন্যতম লক্ষ্য।

এর লম্বা মাস্তুলের মত অংশে একটি ক্যামেরা বসানো আছে, যার সাহায্যে এ রোবট চলার পথ দেখে নেয় এবং ছবি তোলে। এছাড়া আরও পাঁচটি যন্ত্রের মাধ্যমে মঙ্গলের আবহাওয়া, পরিবেশ ও প্রকৃতির বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি পাথরের খনিজ উপাদানের অনুসন্ধান করতে পারে ‘জুরং’।

নামার পাঠানো সাম্প্রতিক রোভারগুলোর (কিউরিওসিটি ও পারসিভের‌্যান্স) মতই শিলাপাথরের রাসায়নিক উপাদান নিরীক্ষা করার জন্য ‘জুরং’ এর সঙ্গে লেজার রয়েছে। তাছাড়া মাটির তলার পানি ও বরফের অস্তিত খুঁজতে এ রোভারের নিচে আছে বিশেষ রেডার।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনা বৃহস্পতিবার মঙ্গলের কক্ষপথ থেকে তোলা ‘জুরং’ এর একটি রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে। মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরতে থাকা নাসার মার্স রিকন্যাইস্যান্স অরবিটারের গায়ে বসানো আছে ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার ওই ক্যামেরা।